৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার গিগাফ্যাক্টরিতে কাজ করার পর টেসলা ছাড়লেন ট্রে সারভান্তেস নামের এক ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান। তার মতে, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নয়, বরং সিইও ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জনসমক্ষে আচরণ তাকে ‘নৈতিকভাবে অস্বস্তিতে’ ফেলেছে।
২০১৮ সালে উৎপাদন সহকারী হিসেবে টেসলায় যোগ দেন সারভান্তেস। তখন ছিল মডেল থ্রি গাড়ির উৎপাদনের ব্যস্ত সময়। কঠোর পরিশ্রম করলেও কাজের অভিজ্ঞতা ছিল ইতিবাচক। ধীরে ধীরে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান পদে উন্নীত হন।
সারভান্তেস বলেন, আমি পড়াশোনা করিনি। কোনো কারিগরি দক্ষতা নিয়েও আসিনি। তবুও টেসলা আমাকে শিখতে ও এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
তিনি আরও জানান, ১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হতো, কিন্তু সাপ্তাহে তিন-চার দিন ছুটি থাকত বিশ্রামের জন্য। আমি জীবনে সবচেয়ে বেশি আয় করছিলাম তখনই।
তিনি জানান, টেসলা তাকে পেশাগত প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও শেখার সুযোগ দিয়েছে। কর্মপরিবেশ ও সহকর্মীদের আচরণও ছিল পেশাদার ও সহযোগিতাপূর্ণ।
তবে সমস্যা শুরু হয় যখন ইলন মাস্ক নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। মাস্কের ভোটার সম্পর্কিত বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, টুইটার কেনা ও প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যগুলো সারভান্তেসের কাছে নৈতিকভাবে অসহনীয় হয়ে ওঠে।
গত বছর থেকে আমি বলতে লজ্জা পেতাম, আমি টেসলায় কাজ করি, বলেন সারভান্তেস। তিনি মনে করেন, মাস্কের আচরণ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
চাকরি ছাড়ার দিন তিনি সুপারভাইজারকে বলেন, আমি আর পারছি না। প্রতিদিন অফিসে ঢোকার সময় মনে হয় নিজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছি। বিদায়ের সময় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, কিছুটা কেঁদেও ফেলেন তিনি।
সারভান্তেস স্পষ্ট করে জানান, আমি টেসলা বা এর কর্মীদের জন্য চাকরি ছাড়িনি। আমি চলে এসেছি সেই ব্যক্তির জন্য, যিনি কোম্পানির মুখ।