তুরস্কের এজিয়ান উপকূলীয় শহর ইজমিরে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি। তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) তুরস্কের এজিয়ান উপকূল এবং গ্রিসের সামোন উপকূলের উত্তরাংশে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের ইজমির প্রদেশে। পার্শ্ববর্তী অ্যাথেন্স এবং ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬ ছিল বলে জানিয়েছে আঙ্কারা। ইজমির শহরের অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে।
সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সরকারি সব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছ বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের নাগরিকদের সঙ্গে আমরা আছি। সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য সমবেতভাবে সবাই অংশ নিয়েছে।
ভূমকম্পের কারণে সামোস বন্দরে মিনি সুনামি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তুরস্ক এবং গ্রিস উভয়ই ফল্টলাইনে অবস্থিত। ভূমিকম্প এ অঞ্চলে স্বাভাবিক ঘটনার মতো।
এদিকে শুক্রবারের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গ্রিসের উত্তরাঞ্চল। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আটকা পড়াদের উদ্ধার করছেন সাধারণ মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূকম্পন শুরু হওয়ার পর পরই সাধারণ মানুষ রাস্তায় এসে আশ্রয় নিতে থাকেন।
ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, মিশর, লিবিয়া, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর মেসিডোনিয়াতেও। তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, ইজমিরের বেয়ারাকলি ও বোরনোভা জেলায় ছয়টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উসাক, ডেনিজলি, মনিসা, এডেন, মুগলার মতো সংলগ্ন প্রদেশগুলিত সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, সেগুলিতে লোকজনকে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আটকদের বের করে আনার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৬০ জন।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/desq
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন