English

19 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

নাচ-গানেও আকৃষ্ট হচ্ছে না ভোটাররা, মিয়ানমারের জান্তা দিল হুমকি!

- Advertisements -

আগামী ২৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারে জান্তা সরকারের অধীনে তথাকথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতেই দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ভোটারদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

গত শনিবার মাগওয়েতে সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এক সমাবেশে তিনি ইঙ্গিতে জনগণকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ভোট দানে বিরত থাকা বা প্রত্যাখ্যান করা মূলত গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেই প্রত্যাখ্যান করার শামিল।

গণমাধ্যমের খবর বলছে, দেশটির সাধারণ জনগণ সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে নারাজ এবং নির্বাচনটি ঘিরে গণবর্জনের স্পষ্ট আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন জনসমর্থন আদায়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে জান্তা সরকার এখন বিনোদন জগতের তারকাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি পুনরুদ্ধার করা উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের কিয়াউকমে এবং নওংঘকিও শহরের মতো এলাকাগুলোতে জান্তা-সমর্থিত তারকাদের পাঠানো হয়েছে, যারা গান ও নাচের মাধ্যমে বাসিন্দাদের ভোট দিতে উৎসাহিত করছেন।

এছাড়া জান্তা প্রধান এবং তার ডেপুটি সো উইন ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়, মাগওয়ে এবং কাচিন রাজ্য সফর করে এমন প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছেন, যারা প্রতিরক্ষা-মনস্ক এবং সেনাবাহিনীর সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারবে।

মিয়ানমারের নির্বাচনী আইনে ভোটের কোনো নূন্যতম হারের বাধ্যবাধকতা নেই, তবুও জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক মহলকে দেখাতে মরিয়া যে জনগণ তাদের সাথে আছে।

২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার প্রায় পাঁচ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে সময় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের রায়কে নস্যাৎ করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ বহু নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়, যাদের অনেকেই এখনো বন্দি অবস্থায় আছেন।

দেশের বিশাল অংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় জান্তা সরকার এবার তিন ধাপে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের পর ১১ জানুয়ারি এবং জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাকি ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ৫৭টি দল অংশ নিলেও মূলত সেনাবাহিনী-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিই (ইউএসডিপি) সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে। জান্তা প্রণীত সংবিধানে সেনাবাহিনীর জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকায়, ইউএসডিপিকে সরকার গঠনের জন্য মাত্র ২৬ শতাংশ ভোট পেলেই চলবে।

পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে প্রত্যাখ্যান করলেও চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোর সমর্থনকে পুঁজি করে জান্তা সরকার তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য হলো মিন অং হ্লাইংকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসানো।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/kt7r
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন