English

27 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫
- Advertisement -

পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচল ভারতের ৪ যুদ্ধবিমান

- Advertisements -

গভীর রাতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচল ভারতের ৪ যুদ্ধবিমান। মঙ্গলবার গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পিএএফ।

এদিন নিজ নিজ প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ও দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যম দুটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে ভারতের ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান শনাক্ত করে তারা। এরপরই তাদের সমন্বিত প্রতিক্রিয়ায় সেগুলো পিছু হটতে বাধ্য হয়।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছিল। তখনই পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়।

এর আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া এক রক্তক্ষয়ী হামলার পরই মূলত দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে।

ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ঘটনাটি ২০০০ সালের পর অঞ্চলটিতে অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ওই ঘটনার একদিন পর (২৩ এপ্রিল) ভারত একতরফাভাবে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ পানি বণ্টন চুক্তি বা সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে।

আর এর পরদিনই অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায় যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি কার্যকরভাবে স্থগিত করতে পারে এবং ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে।

ভারত দাবি করেছে, ২২ এপ্রিলের ওই হামলার সঙ্গে সীমান্ত পারের অর্থাৎ পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।

বিপরীতে, পাকিস্তান এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে সত্য উদ্ঘাটন হয়।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার সতর্ক করে বলেছেন, ইসলামাবাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে যে, ভারত পহেলগাঁও হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের সামরিক হামলা চালাতে পারে।

একই সঙ্গে তিনি ভারতের অবস্থানকে ‘নিজেই বিচারক, জুরি ও শাস্তিদাতা হয়ে ওঠার প্রয়াস’ বলে বর্ণনা করে এটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বলে মন্তব্য করেন।

পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। দেশটি জানে এর কষ্ট কতটা ভয়াবহ’। একই সঙ্গে তিনি সংযম ও আঞ্চলিক শান্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন