সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্যকালে পুতিন আবারও ইউক্রেনে আগ্রাসনকে সমর্থন করেছেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা ইউক্রেন সংকট সমাধানে সহায়তা করেছেন।
পুতিন বলেন, আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যে ‘সমঝোতা’ হয়েছে, তা ইউক্রেনে শান্তির পথ খুলবে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘এই সংকট রাশিয়ার আক্রমণ থেকে সৃষ্টি হয়নি, এটি ইউক্রেনে অভ্যুত্থানের ফলাফল, যা পশ্চিমা দেশগুলোর প্ররোচনা ও সমর্থনে ঘটেছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুদ্ধের একটি কারণ হলো পশ্চিমের প্রচেষ্টা ইউক্রেনকে ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত করার।
আলাস্কা বৈঠকের পরে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, পুতিন সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তবে মস্কো এখনো এ বিষয় নিশ্চিত করেনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার বলেছেন, ট্রাম্প সোমবারকে সময়সীমা হিসেবে দিয়েছেন যাতে পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় রাজি হন। যদি রাজি না হন, ‘এটি দেখাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন ট্রাম্পকে চালিয়েছেন।’
গত শুক্রবার পর্যন্ত রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। মস্কো কিয়েভে ৬২৯টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। ইউরোপীয় নেতারা এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। জার্মানি ও ফ্রান্স রাশিয়াকে শান্তি চুক্তি করতে চাপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, জেলেনস্কি শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে বাফার জোন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া কূটনীতির জন্য প্রস্তুত নয় এবং যুদ্ধের শেষ বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।