ফিলিপাইনে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ সুপার টাইফুন ‘ফুং-ওং’ এর আঘাতে অন্তত চারজন মারা গেছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, টাইফুনটির আঘাতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বিস্তর এলাকা। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ধ্বংসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে টাইফুনটি ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটিতে।
রোববার (৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে সুপার টাইফুনটি। ফিলিপাইনের আবহাওয়া সংস্থা পাগাসার তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফাং-ওং স্থলভাগে আঘাত হানে লুজন দ্বীপের অরোরা প্রদেশে। ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলীয় অঞ্চল।
সুপার টাইফুনটির জন্য এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ঝড়টি লুজন দ্বীপে প্রবল ঝোড়ো বাতাস, ভারী বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে— যা দ্বীপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আতঙ্ক বাড়ায়।
এরআগেই, বাতিল হয়ে যায় দেশটির শত শত ফ্লাইট। পাশাপাশি, বন্ধ ঘোষণা করা হয় কয়েকটি বিমানবন্দর। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থাও জারি করেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। গত সপ্তাহে দেশটিতে আঘাত হানে টাইফুন ‘কালমেইগি’। সে সময় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। গৃহহীন হন লাখো মানুষ।
‘ফুং-ওং’ স্থানীয়ভাবে ‘উয়ান’ নামে পরিচিত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে ঝড়টি তাইওয়ান প্রণালির দিকে এগোবে। এরপর বৃহস্পতিবার পশ্চিম তাইওয়ানে পৌঁছে ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
