ফ্রান্সের একটি আদালত প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক এক রায় দিয়েছে। দেশটির রাজধানী প্যারিসে ১২ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী লোলা ড্যাভিয়েটকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যা করার অভিযোগে আলজেরীয় নাগরিক দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি ফ্রান্সে কোনও নারীর বিরুদ্ধে প্রথমবার সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে দেওয়ার ঘটনা।
আদালতে রায়ে বিচারক বলেন, “অপরাধটি ছিল চরম নিষ্ঠুর ও মানবিকতার পরিপন্থী। এটি আসলে এক ধরনের নির্যাতন।”
তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী ও তার পরিবার এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে মানসিক আঘাত পেয়েছেন, বিচার আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ঘটনার সময় লোলা তার বাড়িতে একমাত্র সন্তান ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর নিখোঁজ হন। তার বাবা-মা ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের লবিতে কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করতেন। পরবর্তী সময়ে তাদের বাড়ির লবিতে একটি ট্রাঙ্কে লোলার মরদেহ পাওয়া যায়।
তদন্তে দেখা গেছে, দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন।
বেঙ্কিরেদের ছাত্র ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। এই কারণে ঘটনাটি অভিবাসন-প্রশ্নকেও বড় করে তুলেছে ফ্রান্সে।
লোলার মা আদালতে বলেছিলেন, “আমরা ন্যায়বিচারে ভরসা রেখেছিলাম এবং আজ সেটা পেয়েছি।”
