বিশ্বের দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল ২০২৫ সালের মে। এ মাসে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে ব্যতিক্রমী শুষ্ক বসন্ত দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হালকা খরার কবলে পড়েছে। এই গ্রীষ্মে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না হলে পানির তীব্র সংকট দেখা দেবে। কৃষকরা বলছেন, সময়মতো বৃষ্টি না হলে নষ্ট হবে ফসল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিথ্রিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে বাতাসের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৯১-২০২০ সালের গড়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৩ ডিগ্রি বেশি। ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত যে গড় তাপমাত্রা ছিল, মে মাসে গড় তাপমাত্রা তার চেয়ে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এর মানে প্রাক-শিল্প যুগ থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রা বেশি ছিল।
সিথ্রিএসের ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টসের (ইসিএমডব্লিউএফ) পরিচালক কার্লো বুওনটেম্পো বলেন, ‘মে মাস আগের অনেক রেকর্ড ভেঙেছে। প্রাক-শিল্প যুগ থেকে এ মাসের গড় তাপমাত্রা বেশি ছিল দেড় ডিগ্রি। আমরা ভবিষ্যতেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারি।’
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য ছিল, বিশ্বের গড় উষ্ণতা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রাখা। এক বা দুই দশক ধরে পরিমাপ করে এ লক্ষ্যমাত্রা করা হয়। কোনো এক বছরে তাপমাত্রা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হওয়াকে লক্ষ্য শেষ হওয়া বলা যাবে না। তবে ক্রমশই জলবায়ুর অবস্থার অবনতি হচ্ছে।