তামাককজাত পণ্যের ওপর যুগান্তকারী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে মালদ্বীপ। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য’ তামাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, নতুন আইনের অধীনে ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য তামাকজাত পণ্যের বিক্রয় এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আইনের অধীনে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা এর পরে জন্মগ্রহণকারী যে কোনো ব্যক্তির জন্য তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার বা বিক্রি করা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর অনুমোদিত এই আইনটির লক্ষ্য হলো ‘তামাকমুক্ত প্রজন্ম’ তৈরি করা। এটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘প্রজন্মগত নিষেধাজ্ঞা মালদ্বীপের তরুণদের তামাকের মারাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত করে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের অধীনে মালদ্বীপের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা সমস্ত তামাকজাত পণ্যের ওপর প্রযোজ্য। খুচরা বিক্রেতাদের এখন যে কোনো তামাকজাত পণ্য বিক্রির আগে ক্রেতার বয়স যাচাই করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপই প্রথম দেশ, যারা ভ্যাপিং এবং ই-সিগারেটের ওপর বিশ্বের কঠোরতম বিধিনিষেধ বজায় রেখেছে। সকল বয়সের লোকদের জন্য এগুলো আমদানি, বিক্রয়, বিতরণ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ।
