বর্তমান বিশ্বে সর্বোচ্চ সম্পদের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে গতকাল বুধবার তাঁর সম্পদের পরিমাণ নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। কিছু সময়ের জন্য মাস্কের নিট সম্পদ ছাড়িয়েছিল ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ ট্রিলিয়ন ডলার।
বিলিয়ন বলতে ১ হাজার মিলিয়ন বা এক হাজার কোটি বোঝায়, আর ট্রিলিয়ন বলতে ১ হাজার বিলিয়ন বা এক লাখ কোটি বোঝায়। ফোর্বস সাময়িকী জানিয়েছে, একক ব্যক্তির সম্পদ হাফ ট্রিলিয়ন ছোঁয়ার ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম।
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ারস ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবর- বুধবার টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাস্কের সম্পদ কিছু সময়ের জন্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার (৫০০.১) ছাড়ায়। যদিও তা পরে ৪৯৯.১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বিশ্বে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় থাকা অপর ব্যক্তিদের তুলনায় ৫৪ বছর বয়সী মাস্কের নিট সম্পদ অনেক বেশি এগিয়ে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরাকলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৩৫০.৭ বিলিয়ন। ২৪৫.৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন মেটার (ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান) প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
এএফপি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে রাজনীতিতে জড়িয়েছিলেন মাস্ক। তখন তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারে কিছুটা ধস নামে। তবে রাজনীতি ছাড়ার পর সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন। তাঁর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয়ও বেড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক স্নাতক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় মনযোগ দেন।
মাস্ক প্রথম মিলিয়নিয়ার হন ১৯৯৯ সালে। তখন তিনি একটি প্রকাশনা সফটওয়্যার ৩০০ মিলয়ন ডলারে বিক্রি করেন মার্কিন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমপ্যাকের কাছে। পরে তাঁর আরেকটি কোম্পানি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম পেপালের সঙ্গে একীভূত হয়। তবে মাস্ক ওই উদ্যোগ থেকে এক সময় বেরিয়ে আসেন। ২০০২ সালে তিনি মহাকাশ রকেট কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে হন টেসলার চেয়ারম্যান।