চীনের বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে নতুন অস্ত্র উন্মোচন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- লেজার অস্ত্র, পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিশাল আন্ডারওয়াটার ড্রোন।
কুচকাওয়াজের আগে দেওয়া বক্তব্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘আমাদের থামানো যাবে না এবং আমরা কখনোই বলপ্রয়োগকারী শক্তির দ্বারা ভীতি হব না।’
চীনের স্টেটকাউন্সিল এ কুজকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য বেইজিংয়ে আমন্ত্রিত ২৬ জন রাষ্ট্রনেতার নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উন ছাড়াও রয়েছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট লুয়ং কুয়ং, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানগাগওয়া, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল।
তালিকায় আরও আছেন মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লাইং, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো প্রমুখ রাষ্ট্রনেতার নাম।
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের এক সঙ্গে এমন আয়োজনে এটিই প্রথমবারের মতো উপস্থিতি। যা এ অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
এদিকে, শির বক্তব্য এবং কুচকাওয়াজ থেকে দেখা গেছে, চীনের নেতৃত্ব তাইওয়ানকে আক্রমণ করার সম্ভাব্য পরিকল্পনায় রয়েছে।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে শি, কিম ও পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘রহস্যময় ষড়যন্ত্রে’ অভিযুক্ত করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপন করছে চীন। দিনটি ঘিরে আজ বুধবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বিশাল সামরিক কুজকাওয়াজ চলছে।
জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে এবং বিশ্ব বিরোধী ফ্যাসিবাদ যুদ্ধের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর স্মরণসভায় শি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ যুদ্ধটি ছিল কঠিন ও মহৎ। যা আধুনিক যুগে বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বিজয় চিহ্নিত করে।’
তিনি বলেন, ‘জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল, যা সিপিসি’র নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছিল। চীনের মানুষ অত্যন্ত ত্যাগের মাধ্যমে মানব সভ্যতার রক্ষা এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, যা বিশ্ব বিরোধী ফ্যাসিবাদ যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’