English

29.4 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বিভক্ত রায় দিল্লি হাইকোর্টের

- Advertisements -

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ককে কি আদৌ ধর্ষণ বলা যায়? অনেকের মতে, বৈবাহিক ধর্ষণের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এই ধারণাটি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বিভক্ত রায় দিয়েছে ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট।

আজ বুধবার এই দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয় দুই বিচারকের বেঞ্চ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি তার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন স্বামী? বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। শুনানিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গও আসে শুনানিতে।

সেখানে বলা হয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয় যদি না স্ত্রী ১৮ বছরের কম হয়। বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ কি না, বিষয়টি ২০১৫ সাল থেকে আদালতে বিচারাধীন। আরআইটি ফাউন্ডেশন এবং অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক ওমেনস অ্যাসোসিয়েশন এই মামলার মুখ্য আবেদনকারী। আবেদনকারীরা ৩৫৭ ধারার অধীনে বৈবাহিক ধর্ষণের ব্যতিক্রমের সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। বলা হয়েছিল স্বামীর যৌন নির্যাতনের শিকার বিবাহিত মহিলাদের প্রতি বৈষম্য করে এই ধারাটি।
বিচারপতি রাজীব শকধের জানিয়েছেন, ধর্ষণের মতো অপরাধে কেন ছাড় দেওয়া হবে স্বামীকে? ধর্ষণের ব্যাপারে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংবিধানের ধারা মানছে না। অন্যদিকে বিচারপতি সি হরিশংকর দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ও ১৯৮বি ধারার কথা তুলে ধরেন। তার মতে, ধর্ষণ আইনের ব্য়তিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয়। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ ওঠে, যা কখনই সে অর্থে অপরাধ বলে গণ্য করা সমীচীন নয়। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আবেদনকারীরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/l9pl
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন