রুমানিয়ার সবচেয়ে মনোরোম পার্বত্য অঞ্চলে ভালুকের আক্রমণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ট্রান্সফাগারসান সড়কের একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল থামালে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ভালুকটি ওই মোটরসাইকেলচালককে ৮০ মিটার উচ্চতার একটি খাড়া খাদে টেনে নিয়ে যায়।
আরগেস কাউন্টি মাউন্টেন রেসকিউ সার্ভিসের প্রধান ইয়োন সানডুলোইউ বিবিসিকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পৌঁছনোর আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। হেলমেট ও সুরক্ষা সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও তার শরীরে গভীর জখম হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি ভালুককে না খাওয়ানোর জন্য সতর্ক করা একটি চিহ্নের পাশে মোটরসাইকেল পার্ক করেছিলেন।
এদিকে ভালুকটিকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।তবে এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে রুমানিয়ায় বাদামি ভালুকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রুমানিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটিতে বাদামি ভালুকের সংখ্যা ১০ হাজার ৪০০ থেকে ১২ হাজার ৮০০-এর মধ্যে। পূর্ববর্তী গণনার তুলনায় এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানুষ ও ভালুকের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাবেক পরিবেশমন্ত্রী মিরসিয়া ফেচেটের মতে, ভালুকের সংখ্যা চার হাজারের মধ্যে থাকা উচিত। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করা ভালুক শিকারের অনুমতি দেওয়া ও এসম্পর্কিত আইনগুলো আরো সহজ করা উচিত বলে মনে করেন। তবে বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও অবৈধ কাঠ কাটার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো এনজিও এজেন্ট গ্রিনের প্রতিষ্ঠাতা গ্যাব্রিয়েল পাউন দাবি করেন, ভালুকের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। এসব ঘটনা মূলত অব্যবস্থাপনার কারণে ঘটছে।