English

38 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

ভিয়েতনামে ‘হাইব্রিড’ কোভিড শনাক্ত

- Advertisements -

ভিয়েতনামে নতুন এক ধরনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘হাইব্রিড’ কোভিড। কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার নতুন এই ধরনটি মূলত ভারত এবং যুক্তরাজ্যের ধরনের সংমিশ্রণ। করোনার নতুন এই ধরনটি আগের সবগুলোর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক এবং এটি দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। খবর বিবিসির।

ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নুয়েন থান লং সর্বশেষ শনাক্ত করোনার এ নতুন ধরনকে ‘খুব বেশি বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস সব সময়ই পরিবর্তিত হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন সম্পূর্ণ হয় না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে।

Advertisements

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বার ভাইরাসের মিউটেশন বা পরিবর্তিত রূপ প্রকাশ পেয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নুয়েন থান লং সরকারি এক বৈঠকে বলেন, ভিয়েতনামে কোভিডের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে, যা কোভিডের দুটি ধরনের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে। এর একটি ভারতীয় ধরন এবং অন্যটি যুক্তরাজ্যের ধরন।

তিনি বলেন, করোনার এই হাইব্রিড ধরন আগের সব ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক, বিশেষ করে বাতাসে দ্রুত ছড়ায়। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ওপর পরীক্ষা চালানোর পর এটি আবিষ্কার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ভাইরাসের জিনগত সংকেত খুব দ্রুত তৈরি করা হবে। করোনার বি.১.৬১৭.২ ধরনটি গত অক্টোবরে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়ায় এটি ভারতীয় ধরন হিসেবেই বেশি পরিচিত। এর আগে যুক্তরাজ্যে করোনার বি.১.১.৭ ধরনটি শনাক্ত হয়। তবে করোনার যুক্তরাজ্যের ধরনের চেয়ে ভারতীয় ধরনটি বেশি সংক্রামক।

Advertisements

এর আগে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ করোনার ভারতীয় ধরনের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ নেই যে, ভাইরাসটির কোনোও পরিবর্তিত রূপ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য আরও মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভাইরাসের মূল ধরনটির মতোই অন্যান্য ধরনও বয়স্ক এবং অন্যান্য অসুস্থতা আছে এমন লোকজনের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভ্যাকসিন না নেয়া জনগোষ্ঠীর ওপর একটি ভাইরাস আরও সংক্রামক এবং সমানভাবে বিপজ্জনক হতে পারে যা বেশি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

গত কয়েক সপ্তাহে ভিয়েতনামে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছেই। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬ হাজার ৭শ’র বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশিই চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিক থেকে শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৭ জন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন