English

34 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
- Advertisement -

মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্প-বাইডেনের দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

- Advertisements -
Advertisements

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের ভোটের গণনা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। পার্লামেন্টের প্রতিনিধি ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকটি রাজ্যে গভর্নরেরও নির্বাচন হয়েছে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে।

Advertisements

বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, এবারের ভোটে মূলত দুইটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এক, মূল্যস্ফীতি ও দুই, গর্ভপাত। ভোটের জরিপ বলছে, রিপাবলিকানদের দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। ফলে মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের একাধিপত্য এবার কমতে পারে।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা এগিয়ে আছে ১৯৯ টি আসনে। ডেমোক্রেটরা এগিয়ে ১৭৮ টি আসনে। অন্যদিকে সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সমান ৪৮টি করে আসন পেয়েছে। তাছাড়া গভর্নরের নির্বাচনে রিপাবলিকানরা এগিয়ে ২৪টি রাজ্যে, ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে ২১টি রাজ্যে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন সারাহ স্যান্ডার্স। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এপির জরিপ বলছে, তিনি আরাকানসের গভর্নর নির্বাচিত হতে চলেছেন। আরাকানসের প্রথম নারী গভর্নর হতে চলেছেন তিনি। ডেমোক্রেটদের হাত থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেবেন তিনি। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউজে প্রেস সেক্রেটারির কাজ সামলেছেন তিনি।

পেনসিলভেনিয়ার আসনটি ছিল রিপাবলিকান সেনেটর প্যাট টুমের। এখানে লড়াই হচ্ছে ডেমোক্রেট জন ফেটেরম্যানের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং টিভি সেলিব্রিটি মেহমেট ওজের। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেনসিলভেনিয়ায় তিনবার প্রচারে গেছিলেন। অন্যদিকে ডনাল্ড ট্রাম্পও সেখানে একটি সভা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ডেমোক্রেট ফেটেরম্যানের জেতার সম্ভাবনা যথেষ্ট। কিন্তু লড়াই হচ্ছে সমানে সমানে। রিপাবলিকান প্রার্থীও শেষপর্যন্ত কিস্তিমাত করতে পারেন।

বেশ কিছু রাজ্যে ভোটের হার উল্লেখযোগ্য। বলা হচ্ছে, ডেমোক্রেটরা খুব শান্তিতে নেই। এবারের ভোটে তাদের ফলাফল ভালো হবে না বলে এরই মধ্যে এই অনেকে ধরে নিয়েছেন। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট দুই কক্ষেই এবার রিপাবলিকানদের একাধিপত্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী কয়েকবছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

এতদিন কংগ্রেসে বিরাট সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন। উচ্চকক্ষ সেনেটে গিয়ে তাকে বার বার হোঁটচ খেতে হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানের সংখ্যা বেড়ে গেলে নিম্নকক্ষেও বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন