ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের ফলস ফ্ল্যাগের কৌশলে হামলা চালাতে পারেন, তাই পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতি গভীর ঘৃণা পোষণ করেন মোদি। তিনি সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের মতো ফের আরেকটি মিথ্যা-ফ্ল্যাগ অভিযান চেষ্টা করতে পারেন।
মঙ্গলবার ও বুধবার ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে এ কথা বলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা আরেকবার প্রমাণ করেছে যে, পাকিস্তানিরা একটি সাহসী, গর্বিত এবং সম্মানিত জাতি। আমি সবসময় বলে এসেছি, ‘মুল্ক ভি মেরা, ফৌজ ভি মেরি’ (এই দেশ আমার, আর সেনাবাহিনীও আমার)। যেমনটি আমাদের সৈন্যরা আকাশ ও স্থল উভয় ফ্রন্টে মোদিকে পরাজিত করেছে, তেমনি পাকিস্তানের মানুষ- বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং বেসামরিক অবকাঠামোর মতো নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে মোদি কাপুরুষতা প্রদর্শন করেছে। আমাদের বাহিনী শক্তি এবং নির্ভুলতার সাথে জবাব দিয়েছে। আমরা এই কাপুরুষোচিত হামলায় শহীদ হওয়া বেসামরিক এবং সামরিক কর্মীদের পরিবারের সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। আমি পাকিস্তান বিমান বাহিনী এবং আমাদের সকল সামরিক কর্মীদের তাদের পেশাদারিত্ব এবং অসাধারণ কর্মক্ষমতার জন্য শ্রদ্ধা জানাই।
ইমরান খান বলেন, নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের প্রতি গভীর ঘৃণা পোষণ করেন। এই সংঘাতের সময় পাকিস্তানিদের নির্ভীক মনোভাব তার ক্রোধকে আরও উসকে দিয়েছে। তিনি সম্ভবত ক্ষুব্ধ এবং ভারতীয় অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে যেমনটি তিনি সাজিয়েছিলেন, তেমনি আরেকটি মিথ্যা-ফ্ল্যাগ অভিযান চেষ্টা করতে পারেন। আমাদের সতর্ক এবং পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ২০১৯ সালেও এই পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। মোদি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ক্ষতি করার চেষ্টাও করবেন। যে কোনো নতুন হামলার ক্ষেত্রে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুদ্ধকালীন সময়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া একান্ত অপরিহার্য উল্লেখ করে ইমরান বলেন, যুদ্ধে অস্ত্রের পাশাপাশি স্নায়ুর সাথেও লড়াই হয়- হয়তো ৬০ শতাংশ এটি মানসিক শক্তির ওপর নির্ভর করে। তাই এমন নেতৃত্ব থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা জনগণের আস্থা অর্জন করে এবং আগ্রাসনের মুখে সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যুদ্ধের অবস্থায় সামরিক বাহিনীর জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন আগের চেয়ে বেশি। জাতির মনোবল সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি হয়ে ওঠে। এই কারণেই আমি বারবার জোর দিয়ে বলেছি যে, আমাদের জনগণকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয় এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে হবে।