দক্ষিণ রাফাহ এলাকায় গুলিবিনিময়ের ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ওই গুলিবিনিময়ে একজন ইসরায়েলি সেনা আহত হন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই ভয়াবহ হামলা চালায়।
মূলত, গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় এই হামলাকে।
এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল–কাসসাম ব্রিগেড ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জানিয়েছে, তারা এক বন্দীর মরদেহ হস্তান্তরের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে মরদেহ অনুসন্ধান, খনন ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হবে, ফলে বাকি ১৩ বন্দীর মরদেহ উদ্ধারে বিলম্ব ঘটবে।’
এদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের হামলার অভিযোগ সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল আছে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস হিলে সাংবাদিকদের ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা জানি, হামাস কিংবা গাজার কেউ একজন ইসরায়েলি সেনাকে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েল তার জবাব দেবে, এটা স্বাভাবিক। তবে প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত শান্তি টিকে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তবে হামাস জানিয়েছে, রাফাহর ওই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
