যুদ্ধের অবসানের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ‘সবচেয়ে কার্যকর উপায়’ হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের মধ্যস্থতা করার জন্য চাপ দেওয়ার পরে পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠক নিয়ে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার রাশিয়া এই বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলে শান্তির আশা ম্লান হয়ে যায়।
কিন্তু জেলেনস্কি রোববার বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে আলোচনার ফর্ম্যাটই এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সেইসঙ্গে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোকে ‘আলোচনা আটকানোর অজুহাত খুঁজছে’ বলে অভিযুক্ত করেছেন এবং ‘যেকোনও মূল্যে তাৎক্ষণিক বৈঠক দাবি করার’ জন্য জেলেনস্কির নিন্দা করেছেন।
এদিকে, রোববার (২৫ আগস্ট) সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় সমান ১৪৬ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ২৪ আগস্ট কিয়েভের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ১৪৬ জন রুশ সেনাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিনিময়ে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ১৪৬ জন যুদ্ধবন্দিকে ইউক্রেনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, একইদিনে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে রাতারাতি ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলেছে। যার ফলে কেন্দ্রটিতে আগুন লেগে একটি সহায়ক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মতে, এই হামলার ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার (৩৮ মাইল) দূরে অবস্থিত কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন নম্বর চুল্লির অপারেটিং ক্ষমতা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।