English

28 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

শেষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী

- Advertisements -
Advertisements

শেষ সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার আগ পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ব্রিগেড ৭১ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বাসে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে, একই কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালানো হয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা (বিএনপি) কী মানুষ? এরা কী রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কী রাজনৈতিক দলের নেতা?  এরা জঘন্য সন্ত্রাসী। এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের উপর আঘাত।’

Advertisements

এ ধরনের ‘সন্ত্রাসীদের’ প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাড়ি পোড়ানো কি কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? আমরাও বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা রাস্তায় পিকেটিং করতাম। বড়জোর রিকশার টায়ারের পাম ছেড়ে দিতাম, তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। এখন কর্মসূচি ঘোষণা করে অনলাইনের মাধ্যমে। সেই কর্মসূচির মূল হচ্ছে অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো। মানুষের উপর আক্রমণ করা। এরা দেশ-জাতি-সমাজের শত্রু। এজন্যই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শেষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এই গ্রেফতার অব্যাহত থাকবে। আমরা এদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৮ তারিখে সমাবেশের নামে বিএনপি পুলিশ হত্যা করেছে, ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। যারা এগুলোর মূল হোতা, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা জানি, তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তারা (বিএনপি) হিংস্র হায়েনার চেয়েও খারাপ। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে লড়তে হবে। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে, তেমনিভাবে এখন তাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে এরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে তাদের অপচেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগ ২১ বছর এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজে অনেকেটাই অগ্রসর হয়েছিলাম। ২০০১ সালে আবারও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আতাত করে ক্ষমতায় আসে। দেশ আবার পিছিয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে দেশ আজ পর্যন্ত দেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলছে।’

ব্রিগেড ৭১-এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতিক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকোট আব্দুন নূর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও ‘ব্রিগেড ৭১’ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন