English

36 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

সরকারি ভুলে দত্ত পদবি হলো ‘কুত্তা’, প্রতিবাদে ‘ঘেউ ঘেউ’

- Advertisements -
Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে হঠাৎ কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ আওয়াজ। তবে এই আওয়াজ কোনো কুকুর করছে না, করছেন চল্লিশোর্ধ্ব এক যুবক। ক্যাম্পে আসা মানুষজন বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি। কিন্তু পরে সমস্যা জানতে পেরে প্রতিবাদীকেই কুর্নিশ করেছেন অনেকে।

Advertisements

বাবা মঙ্গল দত্ত ও মা হীরা দত্তের ঘরে পুত্র সন্তান এসেছিল ৪০ বছর আগে। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীর অনুরোধে ছেলের নাম শ্রীকান্তি কুমার দত্ত রেখেছিলেন তার বাবা। কিন্তু সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতের টোকায় সেই দত্ত পদবি পাল্টে হয়ে গেলো ‘কুত্তা’।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরের রেশন কার্ডে শ্রীকান্তির কুমার দত্তের বদলে নাম হয়েছে ‘শ্রীকান্তিক কুমার কুত্তা’। এ কারণেই সরকারি কর্মকর্তাদের এই ভুলে অভিনব কায়দায় কুকুর সেজে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাঁকুড়ার ওই যুবক।

নাম ভুল আসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন শ্রীকান্তি। সরকারি কাগজে কখনো তার নামের বানান ভুল আসে, আবার কখনও ভুল হয়ে যায় পদবি। কয়েক বছর ধরে বহুবার নাম সংশোধনের চেষ্টা করেছেন। সমস্যার কথা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তার।

শ্রীকান্তি কুমার দত্ত ২০১৫ সালে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের পক্ষ থেকে রেশন কার্ড পান। সেই জায়গায় প্রথমে তার পদবি আসে মণ্ডল। এরপর তা সংশোধনের জন্য আবেদন জানালে তখন নাম পাল্টে হয়ে যায় শ্রীকান্ত। পরে ফের সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। তখন সব কিছু ছাপিয়ে তিনি হয়ে যান ‘শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা’।

পদবি ঠিক করতে বারবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি শ্রীকান্তির। সম্প্রতি বাঁকুড়ার দুই নম্বর ব্লকের ডোকরা শিল্প গ্রামে বসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। শ্রীকান্তির মাথায় অভিনব প্রতিবাদের ভাবনা আসে সেখানেই।

সরকার যখন তার পদবি কুত্তা অর্থাৎ কুকুর রেখেছে সেক্ষেত্রে কুকুর সেজেই প্রতিবাদ জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। একদিন সামনে পেয়ে যান দু’নম্বর ব্লকের সহকারী ব্লক উন্নয়ন কর্মকর্তা বিমান করকে। তাকে দেখেই ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করেন তিনি।

একজন মানুষ এ ধরনের আওয়াজ করছেন দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান জয়েন্ট ভিডিও। পরে অবশ্য তার কাগজ দেখে ‘ঘেউ ঘেউ’ করার কারণ বুঝতে পারেন। অবিলম্বে এই ভুলের সমাধানের ব্যবস্থা করবেন এমন আশ্বাস দেন বিমান কর।

এ বিষয়ে অবশ্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা মুখ খুলতে চাননি। শ্রীকান্তির দাবি, এটি ছিল এক ধরনের প্রতীকী প্রতিবাদ।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন