আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটক করেছে ইসরায়েল। এতে থাকা ১২ আরোহীর মধ্যে সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। তাদের সবাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোববার রাতে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা অবস্থায় জাহাজটিতে হানা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানায় ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন।
আটককৃতদের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য রিমা হাসান, ফরাসি নাগরিক পাঁচজন, ব্রাজিল, তুরস্ক, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও আল-জাজিরার এক সাংবাদিক রয়েছেন।
এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। হামাস একে আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ মন্তব্য করে এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। রামাল্লার মানবাধিকার সংস্থা আল-হাক বলেছে, ইসরায়েলের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
ইরান একে ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় সংঘটিত জলদস্যুতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তুরস্ক বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রমাণ করে যে ‘ইসরায়েল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আচরণ করছে’।
ফ্রান্স তার ছয় নাগরিকের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। স্পেনও ইসরায়েলি কূটনীতিককে তলব করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি কাউন্সিল এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
আমেরিকার ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিল বলেছে, ‘এটি এক কাপুরুষোচিত ও অবৈধ হামলা’।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে বলেছেন, ম্যাডলিন জাহাজকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইসরায়েল এভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।