সৌদি সরকার কর্তৃক তিন বছর আগে আটক হওয়া নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথললকে পাঁচ বছর আট মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বিদেশী দলগুলির সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ রায় দেয় সৌদি আদালত।
তবে আদালত তার সাজার ২ বছর ১০ মাস স্থগিত করেছে এবং তার জেলের মেয়াদ শুরুর তারিখ ২০১৮ সালের মে মাসে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মানে মাত্র তিন মাস সাজা খাটতে হবে তাকে।
যদিও মানবাধিকার প্রচারকারীরা বলছেন, লুজাইনকে এতদিন বিনা অভিযোগে আটক করে রাখা উচিৎ ছিল না। তবে তিন মাস কারাগারে বন্দী থাকার সম্ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বকে হ্রাস করতে সহায়তা করবে যা তাকে ২০ বছর আটকে রাখলে অবশ্যই ঘটত।
সৌদি আদালত ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিদের তাকে আটকে রাখার জন্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া জেদ্দা গভর্নর থেকে লুজাইনকে গোপন স্থানে স্থানান্তর করে নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
লুজাইনের রায়ের সংবাদটি প্রথমে পত্রিকা আশার্ক আল-আওসাত টুইট করেছিল, সেখানে বলা হয়, সৌদি আদালত একজন মহিলা বন্দীকে রাজ্যের শাসক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য এবং বিদেশী এজেন্ডা চালানোর জন্য ব্যক্তি ও সত্তার সঙ্গে সহযোগিতা করার অপরাধে শাস্তি দিয়েছে।
লুজাইনকে ২০১৮ সালের মে মাসে আরো চার মানবাধিকার কর্মী সহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দাবি করেছেন, তাকে গ্রেপ্তারের পরে সাত সপ্তাহ ধরে কারো সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন