ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করানোর পর দুই প্রকৌশলীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. অনুস্কা তিওয়ারিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দীর্ঘ সময় পলাতক থাকার পর তিনি সম্প্রতি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহত দুই প্রকৌশলী হলেন বিনীত কুমার দুবে ও প্রমোদ কাটিয়ার। অভিযোগ রয়েছে, গত মার্চ মাসে তারা একটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করান এবং মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনেই মৃত্যুবরণ করেন।
চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, অভিযুক্ত অনুস্কা তিওয়ারি একজন ডেন্টিস্ট হলেও নিজেই অস্ত্রোপচারটি পরিচালনা করেন—যা তার চিকিৎসা দক্ষতার আওতায় পড়ে না।
নিহত বিনীত কুমারের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠীর বরাতে জানা যায়, ১৩ মার্চ তার স্বামীর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট হয়। পরদিন স্বামীর মুখ ফুলে যাওয়ার খবর পান তিনি। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। পরে রাত ১১টার দিকে একবার কথা হলে অনুস্কা স্বীকার করেন, কোনো রকম মেডিকেল টেস্ট ছাড়াই তিনি অস্ত্রোপচার করেছেন। পরে রাতেই বিনীতকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
জয়া অভিযোগ করেন, প্রথমে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। পরে ৯ মে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ কেন্দ্রে আবেদন করলে মামলা গ্রহণ করে কাকাদেব থানা।
সরকারি কৌঁসুলি দিলীপ সিং জানান, অনুস্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্ত চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।