চার দিন ধরে দাবানলে জ্বলছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যাণ্ডের মনোরম জুকো উপত্যকা। প্রবল বাতাসে আগুনের এলাকা আরও বিস্তৃত হয়ে জাপফু পর্বতমালার দিকে ছড়িয়ে পড়ছে, যা পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দাবানলের ভয়াবহতা বিবেচনায় আকাশপথে আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভয়াবহ এ দাবানলের পেছনে চার ব্যক্তির অসতর্কতা দায়ী বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চারজন পর্যটক বা স্থানীয় ব্যক্তি আগুন জ্বালানোর সময় যথাযথ সতর্কতা না নেওয়ায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ওই চার ব্যক্তির অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই দাবানল দমকা হাওয়ার কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রণে স্থলভিত্তিক দমকলের পাশাপাশি ভারতীয় বিমানবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে আকাশপথে পানি ছিটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, খাড়া ঢাল, ঘন বনাঞ্চল ও দুর্গম অবস্থানের কারণে মাটিতে নেমে সরাসরি আগুন নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সীমিত। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি কোহিমার পশ্চিমে খোনোমা গ্রামের বনভূমির অন্তর্ভুক্ত।
জুকো উপত্যকা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম সংরক্ষিত ও দর্শনীয় প্রাকৃতিক এলাকা। পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, এই দাবানলে বিরল উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
