৩৫ বছর বয়সী স্যাম হ্যারিসের বিভিন্ন সামগ্রী ও ট্রেকিংয়ের সরঞ্জাম নিখোঁজের কয়েকদিন পর তাকে উদ্ধার করেছিল উদ্ধারকারী দল। ৮ জানুয়ারি স্যাম হ্যারিসের মোবাইল ফোন সিগন্যালের মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে তাকে উদ্ধার করা হয়। গভীর বরফে ঢাকা অবস্থায় তার মরদেহ মাউন্ট ক্যারে অল্টোর দক্ষিণ ঢালের এক খাড়ির তলায় পাওয়া যায়।
আজিজ জিরিয়াতের মরদেহ শনিবার সকালে উদ্ধার করে একটি স্নিফার ডগ।
বরফে ঢাকা এক পাথুরে গহ্বরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এটি স্যাম হ্যারিসের অবস্থান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে এবং ৪০০ মিটার নিচে।
উদ্ধারকারী দল জানায়, জানুয়ারি মাসেই ২,৬০০ মিটার উচ্চতায় আজিজ জিরিয়াতের সন্ধানে একবার তল্লাশি চালানো হয়েছিল, যেখান থেকে স্যাম হ্যারিসের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। পুরো গালিচার মতো এলাকা স্ক্যান করা হলেও সেদিন কোনো খোঁজ মেলেনি।
পরবর্তী অনুসন্ধানে দলটি ঢালের নিচের দিকে ধীরে ধীরে নামতে থাকে এবং পরিশেষে সেই জায়গা থেকেই আজিজ জিরিয়াতের মরদেহ খুঁজে পায়। তার মরদেহ স্পিয়াজো রেনডেনা স্পোর্টস ফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে করোনারের দপ্তরের কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করেন। তার পরিবারকে সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে জানানো হয়।
আজিজ জিরিয়াত একটি দাতব্য সংস্থায় কাজ করতেন। তার প্রেমিকা রেবেকা ডিমক জানিয়েছেন, তিনি ও স্যাম হ্যারিস একসঙ্গে বহুবার হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন।
তাদের সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল সান ভ্যালেন্তিনো উপত্যকায়, ‘কাসিনা ডোসন’ নামক একটি পাহাড়ি কুটিরের কাছে।