ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) আগামী মাসে নতুন এক্সিকিউটিভ এনক্লেভে স্থানান্তরিত হতে যাচ্ছে। যা এতদিন সাউথ ব্লকে ছিল। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই নতুন ভবনেই থাকবে পিএমও, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয় ও আধুনিক কনফারেন্স সুবিধা। নতুন পিএমও ভবনটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেরও কাছাকাছি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো ভবনগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং আধুনিক সুবিধার অভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারতের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির প্রতিচ্ছবি হিসেবে নতুন দপ্তর ভবনের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কার্তব্য ভবন-৩ এ সরানো হয়, যেটি প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসেই উদ্বোধন করেছেন।
উদ্বোধনী ভাষণে তিনি জানান, ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো এতদিন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ভবন থেকে পরিচালিত হচ্ছিল— যেখানে পর্যাপ্ত জায়গা, আলো-হাওয়া ও অবকাঠামো ছিল না। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন, কীভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর শত বছর ধরে এভাবে চলেছে।
নতুন পিএমও-র একটি নামকরণও হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর নামের সঙ্গে ‘সেবা’র চেতনা যুক্ত থাকবে। তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পিএমও হবে জনগণের দপ্তর, মোদীর পিএমও নয়।
অন্যদিকে, দীর্ঘ আট দশক ধরে ভারতের প্রশাসনিক স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লককে রূপান্তর করা হবে একটি জনসাধারণের জাদুঘরে। জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও ফ্রান্স মিউজিয়ামস ডেভেলপমেন্টের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তিও হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, এই প্রকল্প ভারতের অমর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে— অতীতের গৌরব, বর্তমানের আলোকোজ্জ্বলতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার এক অনন্য প্রদর্শনী হিসেবে।