ইসরায়েলি যেকোনো আক্রমণের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইরান।গতকাল বুধবার তারা ঘোষণা দেয়. যে তাদের নতুনভাবে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, ‘১২ দিনের যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। আজ আমরা পূর্বের ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছি। যদি জায়নবাদী শত্রু আবার কোনো অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই সেগুলো ব্যবহার করব।’
জুনের মাঝামাঝি সময়ে, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বোমা হামলা শুরু করে, যার ফলে যুদ্ধ শুরু হয় এবং ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসরায়েলের আক্রমণে জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং শত শত অন্যান্য ব্যক্তি নিহত হয়। তারা সামরিক স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা উভয়ই স্থানেই আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধে সংক্ষিপ্তভাবে যোগ দেয়। জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্থা আয়রন ডোমও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। পরে ২৪ জুন দুইপক্ষের মথ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
ইরানের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, যেকোনো মুহূর্তে নতুন লড়াই শুরু হতে পারে। তবে তেহরান যুদ্ধ চায় না। কিন্তু লড়াই শুরু হলে তা মোবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে সোমবার প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ রেজা আরেফও বলেছেন, ইরানকে প্রত্যেক মুহূর্তে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতিতে নেই, আমরা শত্রুতা বন্ধের অবস্থায় রয়েছি।’