ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে নাইজেরিয়া। এতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় সেনাদের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবারের (২৩ আগস্ট) এ অভিযানের খবর নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়ান বিমান বাহিনী (এনএএফ)।
এনএএফের মুখপাত্র এহিমেন এজোদামে জানান, বর্নো প্রদেশের কুমশে এলাকায় চারটি আলাদা লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘অভিযানের পর স্থল সেনাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের অবস্থান ঘিরে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি সেনাদের ওপর হামলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। বোকো হারাম ও আইএসআইএল–এর স্থানীয় শাখা আইএসডব্লিউএপি (আইএস ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স) প্রায়ই এ অঞ্চলে হামলা চালায়। সাম্প্রতিক সময়ে তারা একাধিক সেনা ঘাঁটি দখল করে সৈন্য হত্যা ও অস্ত্র লুট করেছে।
২০১৫ সালের পর সংঘাত কিছুটা স্তিমিত হলেও এ বছরের শুরু থেকে ফের জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।
জাতিসংঘের হিসেবে, দীর্ঘ ১৬ বছরের সংঘাতে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং দুই কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে নাইজেরিয়াকে ৩৪৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বোমা, রকেট ও গোলাবারুদ রয়েছে। এখন শুধু কংগ্রেসের অনুমোদন বাকি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, এ সরঞ্জাম সরবরাহ হলে নাইজেরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী সক্ষমতা বাড়বে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলা সহজ হবে।