মার্কিন সামরিক বাহিনীতে নারী সদস্যদের উপস্থিতি বাড়লেও তাঁদের জন্য পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূল নয়। ঠিক এমন সময়, জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও টিকটক হয়ে উঠেছে নারী সেনাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এতে যেমন মিলছে লাখো ভিউ ও অনুসারী, তেমনি উসকে উঠছে বিতর্কও।
বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সেনাবাহিনীতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে একসময় সন্দিহান থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বলেন, সম্মুখ সমরের সব পদই নারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবু নারী সদস্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিতে অনাগ্রহী।
ফেডারেল পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৫ থেকে পুরুষ সদস্য ১০% কমলেও নারী সদস্য বেড়েছে ১২%। তবে ২০২৩ সালের তথ্যে দেখা যায়, সেনাবাহিনীতে কর্মরত ১৩% নারী লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়েছেন, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে হার মাত্র ১.৪%।
এই বাস্তবতায় অনেক নারী সেনা তাঁদের দৈনন্দিন জীবন, ইউনিফর্ম পরিবর্তন থেকে শুরু করে শিশুদের দেখাশোনা—সবই শেয়ার করছেন টিকটকে। যেমন, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট মনিকা স্মিথ বলেন, ‘নারীদের এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না, যেখানে তাঁরা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারেন।’
তবে ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। #MilTok হ্যাশট্যাগযুক্ত ভিডিওতে প্রায়ই আপত্তিকর মন্তব্য আসে। আবার প্ল্যাটফর্মটির মালিক চীনা কোম্পানি হওয়ায় পেন্টাগনও এটিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি মনে করছে।
বিতর্কিত কনটেন্ট তৈরি করেন হেইলি লুহান-এর মতো ইনফ্লুয়েন্সাররাও। তিনি কখনো সামরিক পোশাকে নাচেন, কখনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে ব্যঙ্গ করেন। ফলে অনলাইনে অভিযোগ ওঠে, তাঁরা আসলে ‘সাইকোলজিক্যাল-অপারেশনস স্পেশালিস্ট’। তবে লুহান বলেন, তিনি কেবল নিজের মতামত প্রকাশ করছেন।
এইসব পোস্টকে ঘিরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব, নারী নিয়োগ এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।