সংবাদ সম্মেলনে রেহাম বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো কোনো রাজনৈতিক পদ গ্রহণ করিনি। একবার একটি দলে শুধু একজন ব্যক্তির জন্য যোগ দিয়েছিলাম।’ এই ইঙ্গিত ছিল তার সাবেক স্বামী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের প্রতি। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, ‘আজ আমি নিজের শর্তেই দাঁড়িয়েছি।’
রেহাম জানান, তার দল হবে জনগণের কণ্ঠস্বর এবং শাসকগোষ্ঠীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘এই দল শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি আন্দোলন, যার লক্ষ্য রাজনীতিকে প্রকৃত অর্থে জনসেবায় রূপান্তরিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত যে পাকিস্তান আমি দেখেছি, সেখানে এখনো বিশুদ্ধ পানির অভাব, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার সংকট। এটা আর সহ্য করা যায় না।’
রেহাম খান বক্তব্যে জানান, তার দল ক্ষমতা নয়, পরিবর্তন চায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদে এমন মানুষ থাকা উচিত, যারা সত্যিকার অর্থেই সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি—নিজ নিজ শ্রেণি থেকে উঠে আসা।’
তিনি রাজনীতিতে বংশানুক্রমিক প্রভাব ও পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের দল কোনো বাহ্যিক আশীর্বাদ নিয়ে গঠিত হয়নি। আমরা ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য তৈরির জন্য রাজনীতিতে আসিনি। আমাদের কেউ একসঙ্গে চারটি আসন থেকে প্রার্থী হবে না, আমরা কোনো রাজনৈতিক খেলা খেলতে আসিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সংসদে পাঁচটি পরিবারই বারবার জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা সেই প্রথা ভাঙতে চাই—নিয়ে আসতে চাই সেবাভিত্তিক নেতৃত্ব।’
রেহাম খান জানান, তার দলের ইশতেহার শিগগিরই প্রকাশ করা হবে এবং তা হবে সংবিধানিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘আমি এসেছি বড় বড় রাজনৈতিক মানুষদের জায়গা নিতে।’