English

31 C
Dhaka
রবিবার, মে ১১, ২০২৫
- Advertisement -

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরসহ ৯ স্থানে ভারতের হামলা

- Advertisements -

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এসব জায়গা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল দাবি ভারতের। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দূর’।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছুক্ষণ আগে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দূর’ পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে। যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৯টি জায়গায় হামলা হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই হামলাগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক, পরিমিত এবং উত্তেজনা এড়ানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রিত ছিল। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি।”

ভারতের পক্ষ থেকে হামলার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না বলা হলেও পাকিস্তান জানিয়েছে, তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, “ভারত মধ্যরাতে কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে।” খবর ডনের।

তিনি জানান, এক শিশু নিহত ও দুই নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আরও একজন মুখপাত্র জিও টেলিভিশনকে বলেন, পাঁচটি স্থানে হামলা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি মসজিদ রয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে ৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের পাহাড়ি এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের পরপরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ভারতীয় কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও রাতে তীব্র গোলাগুলির শব্দ, বিস্ফোরণ এবং আকাশে যুদ্ধবিমান দেখা গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।

ভারতের দাবি, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। সেই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।

পাকিস্তান ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানায়, ভারত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন গোয়েন্দা তথ্য তাদের হাতে ছিল।

ভারতের সেনাবাহিনী তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে হামলার পর একটি বার্তায় লিখেছে: “ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জয় হিন্দ।”

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন