English

25 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
- Advertisement -

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

- Advertisements -

ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, আসন্ন ঝড় কালমেগির কারণে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ব্যাংককসহ থাইল্যান্ডের ৬৫টি প্রদেশে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। রাজধানী ব্যাংকক ছাড়াও দ্রুত বয়ে চলা চাও ফ্রায়া নদীর তীরবর্তী ১০টি প্রদেশকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ (ডিডিপিএম) জানিয়েছে, চাই নাট প্রদেশের চাও ফ্রায়া ব্যারেজের উজানে নদী দিয়ে বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ২৫০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রয়্যাল ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট ব্যারেজের পানি নিঃসরণের হার ২ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৭০০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ডে করেছে। তুলনামূলকভাবে ২০১১ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় এই নদীতে প্রবাহের হার ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৭০৩ ঘনমিটার।

এর ফলে ভাটিতে থাকা নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোর পানি ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব স্থানে বাঁধ নেই—সেসব এলাকাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ডিডিপিএম।

ব্যাংককের পাশাপাশি যেসব প্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলো হলো—উথাই থানি, চাই নাট, সিং বুড়ি, আং থং, সুফান বুড়ি, আয়ুত্থয়া, লপ বুড়ি, পাঠুম থানি, সামুত প্রাকান ও ননথাবুরি। সতর্কবার্তার মূল লক্ষ্য নিচু এলাকা ও বাঁধবিহীন অঞ্চলগুলোকে প্রস্তুত রাখা।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় কালমেগি শুক্রবার উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে প্রবেশ করবে। এতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম (আন্দামান উপকূল) অঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রদেশ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এদিকে, কালমেগির প্রভাবে প্রতিবেশী ভিয়েতনামেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, উপকূলে ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মধ্যাঞ্চলের ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে—বুয়ন মা থুয়ত, প্লেইকু, তুই হোয়া, চি লাই ফু ক্যাট এবং লিয়েন খুয়ং। এসব বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/a6lf
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন