English

30 C
Dhaka
বুধবার, মে ১, ২০২৪
- Advertisement -

‘বাচ্চা চাই না’, স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে সন্তান নষ্ট!

- Advertisements -

বিয়ের সময় স্বামীর দেওয়া শর্ত না রাখায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভে থাকা সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রোববার (১৩ মার্চ) রাতেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন স্ত্রী চায়না বিবি। এসময় স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

গত ৮ মার্চ ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বছরখানেক আগে হুগলির বলাগড় থানার আইদা গ্রামের বাসিন্দা চায়না বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার ধর্মডাঙার যুবক কামালউদ্দিন মণ্ডলের।

Advertisements

স্ত্রী চায়না জানান, বিয়ের পরই স্বামী কামালউদ্দিন তাকে শর্ত দেন, তার সঙ্গে সংসার করতে হলে সন্তান নেওয়া যাবে না। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সহবাস বন্ধ ছিল না। অসতর্কতাবশত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আর তাতেই রেগে যান কামালউদ্দিন। গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে দিতে হবে বলে স্ত্রীকে জানান।

চায়না বলেন, স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির আরও দুই সদস্য তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। অত্যাচার সহ্য করেও গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাইনি। এতে কামালউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ মার্চ আমার পেটে সজোরে লাথি মারে। এসময় পেটে যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

Advertisements

পরে কামালউদ্দিন ও তার বাড়ির অন্য সদস্যরা চায়নাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে চায়নার বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতাল ছুটে আসে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

চায়নার ভাই শেখ বাপ্পি বলেন, চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করে আমার বোনের গর্ভে থাকা মৃত চার মাসের সন্তানকে বের করেছেন। কোনো রকম প্রাণে বাঁচেন চায়না।

এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, চায়নার করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের সন্ধানে অভিযান চলছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন