English

33 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

বুশরার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহর হ্যান্ডব্যাগের সত্যিই কি এত দাম?

- Advertisements -

চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে পাকিস্তানে। এই অস্থিরতা মধ্যেই সেখানে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির ‘অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান।

রবিবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর ইমরান খানকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করে ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট।

এ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও উত্তপ্ত হয়ে হঠে। বর্তমানে এই অস্থিরতা গিয়ে গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন।

এদিকে, এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। তিনি পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই চলে গেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

Advertisements

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সৃষ্ট অস্থিরতায় পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।

ফারাহ খান ছাড়াও ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আরও কয়েকজন নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পিটিআই’র খবর অনুযায়ী, ফারাহ খান রবিবার দুবাই চলে যান। সেখানে তার স্বামী বাস করেন।

ফারাহ খানের দেশ ছাড়া পালানোর এই গুঞ্জনের মধ্যেই এবার প্রকাশ্যে এল নতুন অভিযোগ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন এর নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের অভিযোগ, বুশরার এই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ লাখ টাকা) মূল্যের হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার করেন।

সম্প্রতি ফারাহ খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হলে মিফতাহ ইসমাইল এই অভিযোগ করেন।

ইসমাইল, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খকান আব্বাসির সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, পিএমএল-এন ফারাহ সম্পর্কে সেই কথাই বলছে যা আগে পিটিআই নেতা আলিম খান বলেছিলেন।

পিএমএল-এন’র এই নেতার অভিযোগ, ফার্স্ট লেডি ঘনিষ্ঠ সহযোগী পাঞ্জাবের বেসামরিক কর্মচারীদের বদলির জন্য ‘টাকা নিয়েছেন’।

Advertisements

‘কাদের কাছে গেল সেই টাকা?’ ইসমাইল জানতে চান। তিনি বলেন, পিটিআই দাবি করছে যে ফারাহ খান একজন ‘প্রাইভেট নাগরিক বা ব্যক্তি’ হওয়ায় তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি হতে পারেন না।

ফারাহ খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর আলোচনা চলছে পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন মহলে। আলোচনায় স্থান পেয়েছে ‘হ্যান্ডব্যাগ’ ইস্যুটি। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছে বলছেন, সত্যিই কি ফারাহ খানের হ্যান্ডব্যাগের এত দাম?

এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সহ-সভাপতি মরিয়াম নওয়াজ কয়েকবার অভিযোগ করেছেন যে ফারাহ খান দুর্নীতির সাথে জড়িত।

অভিযোগের জবাবে ইমরানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শেহবাজ গিল বলেন, বুশরার বিরুদ্ধে সমালোচনার কিছু না পেয়ে মরিয়ম এখন বুশরার বন্ধুকে টার্গেট করছেন।

পিটিআই’র খবর অনুযায়ী, ফারাহ কোনও সরকারি পদে নেই। তিনি পিটিআইয়ের সদস্যও নন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন