ভারতের উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীর ১১ জন সদস্যসহ নিখোঁজ আছেন প্রায় ১০০ জন। ভয়াবহ এই বন্যার একদিন পর নিখোঁজদের সন্ধানে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সাহায্যের জন্য সেখানে তারা নিয়ে গেছেন শিকারি কুকুর, ড্রোন এবং মাটি সরানোর ভারী সরঞ্জাম।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশীর ধরালী শহরে কর্দমাক্ত জল ও ধ্বংসাবশেষের প্রাচীর ভেঙে একটি সংকীর্ণ পাহাড়ি উপত্যকা ভেঙে পড়ার পর এই বন্যা শুরু হয়।
আজ বুধবার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উদ্ধার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার জন্য অতিরিক্ত সেনা কলাম, সেনাবাহিনীর ট্র্যাকার কুকুর, লজিস্টিক ড্রোন, মাটি সরানোর সরঞ্জাম ইত্যাদি মোতায়েন করা হয়েছে।’
রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ও তীব্র বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাস্থানে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সামরিক হেলিকপ্টারগুলো আটকে পড়া লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ওষুধ সরবরাহ করছে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে উত্তরকাশী থেকে ১৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এলাকাটিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পর্যটন অঞ্চলে বহুতল অ্যাপার্টমেন্টের ব্লকগুলো কাদাযুক্ত জলের ভয়াবহ ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঢেউ পুরো ভবন উপড়ে ফেলেছে। ডুবে যাওয়ার আগে বেশ ক’জনকে দৌড়াতে দেখা গেছে।
ধরালী এলাকাটি উত্তরাখণ্ডের জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন পর্যটন কেন্দ্র। হারসিল থেকে এটি ২ কিমি (১.২৪ মাইল) দূরে অবস্থিত। হারসিলে একটি বড় ভারতীয় সেনা ঘাঁটি রয়েছে। আধাসামরিক ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের একটি ক্যাম্পও এই এলাকার কাছে অবস্থিত। ওই ক্যাম্পের ১১ জন সৈন্যই নিখোঁজ।