ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ‘বিশ্বের অন্যতম বড় মাদক চোরাকারবারি’ আখ্যা দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার পুরস্কার দ্বিগুণ করে ৫ কোটি ডলার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্বে এই পুরস্কারের পরিমাণ ছিল আড়াই কোটি ডলার। খবর বিবিসির।
মাদুরো এর আগে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রের আনা মাদক কারবারের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। ভেনেজুয়েলা সরকারও সাম্প্রতিক অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বন্ডির বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনারই ধারাবাহিকতা। তবে দ্বিগুণ পুরস্কারের অর্থ কীভাবে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি অ্যাটর্নি জেনারেল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদুরোর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। গত জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে মাদুরো ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ প্রত্যাখ্যান করে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে মাদুরো এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক-সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়। সে সময় মার্কিন বিচার বিভাগ দাবি করেছিল, মাদুরো কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফার্কের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে কোকেনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
ভেনেজুয়েলার সাবেক সামরিক গোয়েন্দা প্রধান উগো কারবাহানকে গত জুনে মাদ্রিদে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি একাধিক মাদক মামলায় দোষ স্বীকার করেছেন। ‘এল পলো’ বা ‘দ্য চিকেন’ নামে পরিচিত এই কর্মকর্তা একসময় মাদুরোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তবে বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাদুরোকে উৎখাতের আহ্বান জানানোর পর দেশ ত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, কম শাস্তির বিনিময়ে তিনি মাদুরোর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন।
২০১৩ সালে উগো চাভেজের মৃত্যুর পর ইউনাইটেড সোশালিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট হন মাদুরো। তার বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। চলতি বছরের শুরুতে ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সরকারের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।