যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার দুটি গাঁজার খামারে অভিযান চালিয়ে ৩৫০ জনের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ১৪ জন অভিবাসী শিশুকেও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ দিকে, ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি)-এর কর্মকর্তারা ক্যালিফোর্নিয়ার কামারিলো এবং কার্পিন্টেরিয়ার দুটি গাঁজার খামারে অভিযান চালান। অভিযান শুরুর পরপরই ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা আসে। তারা অভিযোগ করে, এসব অভিযান খামারের শ্রমিকদের টার্গেট করছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ডিএইচএস-এর নতুন হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে ৩৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, সিরিয়াল চুরি, ‘হিট অ্যান্ড রান’, এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর (ডিইউআই) মতো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।
শুক্রবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, এই সংখ্যাটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএইচএস এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযান ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে অন্যতম বৃহৎ অভিযানে পরিণত হচ্ছে এবং আমরা শুরুর পর্যায়ে আছি।
স্থানীয় সময় রোববার (১৩ জুলাই) রাতে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিএইচএস-এর সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন নতুন এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এবং গ্রেফতারকৃতদের ‘ভয়ংকর অপরাধমূলক ইতিহাস’ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা এমন ৩৬১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছি, যাদের অপরাধের তালিকায় রয়েছে অপহরণ, শিশু নিপীড়ন, ধর্ষণ, ধারাবাহিক চুরি, ও হিট অ্যান্ড রান। এরা কেউই আমাদের সমাজে বেআইনিভাবে থাকার উপযুক্ত নয়, বিশেষ করে শিশুদের আশেপাশে তো নয়ই।
ডিএইচিএস আরও জানায়, তারা দুটি খামারের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অনুসন্ধান পরোয়ানা পেয়েছিল। শিশু অভিবাসীদের জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার ও শোষণের আশঙ্কায় এসব অভিযান চালানো হয়।