‘দেশীয় ফলের প্রচার ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির’ বার্তা নিয়ে রাজধানীতে মৌসুমী ফল উৎসব করেছে খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা। শনিবার (১২ জুলাই) পল্টনস্থ সিএমজেএফ মিলনায়তনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমাদ রাসেলের সঞ্চালনায় ফল উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত্, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, দৈনিক ভোরের ডাকের সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, আমার দেশের উপ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বাদল, খুলনা বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শেখ রিজভী নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
ফল উৎসবে পরিবেশিত হয় আম, আনারস, আমড়া, কলা, লটকন, ড্রাগন ফল এবং কাঁঠালসহ বিভিন্ন দেশীয় ও মৌসুমি ফল। অতিথিরা বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী ফলের পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, খুলনা আমাদের দেশের ঐতিহ্যের অংশ। সুন্দরবনের মতো আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ এই অঞ্চলে অবস্থিত। খুলনা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণমাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী দিদার বখত বলেন, সাংবাদিকদের কলমের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। ফল সংরক্ষণ ও রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। খুলনা বিভাগ এক বিশাল সম্ভাবনার ঝুঁড়ি—তাকে কাজে লাগাতে হবে। খুলনার নেতৃত্বের অভাবেই এই অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে। এই শূন্যতা পূরণে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
আমার দেশের উপ-সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বাদল বলেন, খুলনার উন্নয়নে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
ফোরামের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, মৌসুমী ফল হচ্ছে প্রকৃতির এক অনন্য উপহার—এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক টিকার মতোই এর কাজ। আমাদের শরীরকে রোগপ্রতিরোধে সহায়তা করে এসব দেশীয় ফল। ঠিক এই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই আজকের এই ‘ফল উৎসবের আয়োজন। এই উৎসব শুধু ফলভিত্তিক আয়োজনে সীমাবদ্ধ নয়—এটি একটি মিলনমেলারও সুযোগ, যেখানে সাংবাদিকদের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধনের সেতুবন্ধ গড়ে উঠছে। আপনারা যারা আজকের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন, সময় দিয়েছেন, উৎসবে প্রাণ দিয়েছেন—সবার প্রতি জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আয়োজকরা জানান, এই ফল উৎসবের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও দেশীয় পণ্যের প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। আগামীতেও এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।