আতাফলের রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও আছে আতাফলে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ফলটিতে এমন ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রের জন্য ভালো। অন্ত্র ভালো থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়। ফলে ক্যালরি পোড়ে তাড়াতাড়ি। আতা খেতে মিষ্টি। কিন্তু সেই মিষ্টত্ব আসে প্রাকৃতিক শর্করা থেকে। তাই ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে আতা খুব একটা ক্ষতিকর নয় (অবশ্যই যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যায়)। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে আতাফল কীভাবে সাহায্য করে?
২. আতাফলে যে ধরনের ফাইবার থাকে, তা সহজপাচ্য। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ফলটি। ফাইবারের গুণে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে।
৪. রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ‘স্টেবিলাইজার’-এর মতো কাজ করে আতাফল। তা ছাড়া, আতার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলেও এই ফল খাওয়া যায়। রক্তে হঠাৎ শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে যে ধরনের বিপদ হয়, তা এড়িয়ে চলা যায় আতাফল খেলে।
আর কোন কোন কাজে লাগে?
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজের সম্ভার রয়েছে আতাফলে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজও রয়েছে এই ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির জন্যও আতা উপকারী। পেশি মজবুত করতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে আতাফল।
