চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত শীতকাতুরে অনুভূতি কখনো কখনো শরীরের শারীরিক অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। শরীর নিজে কিভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটাও এ থেকে বোঝা যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সারা সময় শীত অনুভূত হতে পারে। সাধারণ তিনটি কারণ হলো—
আয়রনের ঘাটতি এবং রক্ত তৈরির কম ক্ষমতা
আয়রন লোহিত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলস্বরূপ শরীর নিজে থেকে যথেষ্ট তাপ উৎপন্ন করতে পারে না।
হাত-পা ঠাণ্ডা থাকে এবং সারা সময় শীতকাতুরে অনুভূতি দেখা দেয়।
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্য কমে যাওয়া
গলার কাছে প্রজাপতির মতো থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে, যা থেকে নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। এই হরমোন বিপাক হার স্বাভাবিক রাখতে এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হরমোনের ঘাটতি (হাইপোথাইরয়েডিজম) হলে শরীরের নিজস্ব হিট ইঞ্জিন কাজ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা বেশি শীতকাতুরে হন।
দেহে চর্বি কম থাকা
দেহের প্রাকৃতিক চর্বি তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রতিটি অংশে উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু যাদের শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম বা বডি মাস ইনডেক্স স্বাভাবিকের তুলনায় কম, তারা এই প্রাকৃতিক ইনসুলেশন থেকে বঞ্চিত থাকে। তাই তাদের শীত লাগে বেশি।
