ঘর পরিষ্কার করা এক মহা ঝামেলার কাজ। তার মধ্যে বাড়িতে যদি শিশু থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। ওদের দুরন্তপনায় ঘরদোর নোংরা যেমন হয়, তেমনই পরিষ্কার করতে গিয়েও বার বার বাধা আসে। তার মধ্যে যে সাবান বা ফিনাইল দিয়ে ঘর পরিষ্কার করা হচ্ছে তা যেনো শিশুর ক্ষতি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে এই জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবে কমলালেবু।
শীতের শেষ। যদিও এখনও বাজারে কমলালেবু কিছুটা হলেও রয়ে গিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘর পরিষ্কারের কাজ অনেকটা সহজ করা যায়।
কেন কমলালেবু: যে কোনও সাবান বা ফিনাইলেই রাসায়নিক থাকে। সেই রাসায়নিক ছোটদের তো বটেই, বড়দের শরীরেও নানা খারাপ প্রভাব ফেলে। কমলালেবু দিয়ে তৈরি ঘর-পরিষ্কারের সাবানে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে না। তবে শুধু কমলাই নয়, আপেল দিয়েও বানিয়ে নেওয়া যায় এ ধরনের তরল, যা পরিষ্কার রাখবে ঘর। কমলালেবুর খোসায় লিমোনিন নামের তেল থাকে। আপেলের খোসায় থাকে ম্যালকি অ্যাসিড। দুটোই চটচটে ময়লা পরিষ্কার করতে কাজে লাগে। তা ছাড়া কাঠের জিনিস চকচকে রাখতেও পারে এরা।
কমলালেবু দিয়ে পরিষ্কার: একটি পাত্রে কমলার খোসা রেখে, তাতে পানি ঢালতে হবে। একটি লেবুর খোসার জন্য এক চাপ পানি দিতে হবে পাত্রে। এ বার খোসা সহ পানিটি ফোটাতে হবে। পানি ফুটে গেলে, আঁচ কমিয়ে ১৫ মিনিট ওই অবস্থায় রাখতে হবে। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি একটি স্প্রে-বোতলে ঢেলে নিতে হবে। ওই কমলালেবুর খোসা সিদ্ধ পানি কাচ বা টেবিলে স্প্রে করে নরম কাপড় দিয়ে সেগুলি মুছে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আপেল দিয়ে পরিষ্কার: আপেল দিয়ে কিছু পরিষ্কার করা আরও সহজ। আপেলের খোসা দিয়ে এমনিই বেসিন বা কাঠের টেবিল মুছে পরিষ্কার করা যায়। কমলালেবুর খোসা সিদ্ধ করে যে ভাবে তরল বানানো হয়েছিল, সে ভাবেও আপেলের খোসাকে ব্যবহার করা যায়। এই তরল দিয়ে খুব চিটচিটে ময়লাও পরিষ্কার করা যায়।