English

17 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
- Advertisement -

ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল কেন এত দামি

- Advertisements -

লাল বা সবুজ আপেলের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। বাজারে গেলে এই দুই রঙের আপেল চোখে পড়ে সহজেই। কিন্তু এমন একটি আপেল আছে, যার রং এত গাঢ় যে প্রথম দেখায় কালো মনে হয়। সেজন্য এর নাম ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল। বিরল, দৃষ্টিনন্দন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই আপেলই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আপেলগুলোর একটি। তবে ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল শুধু সৌন্দর্য আর বিলাসের প্রতীক নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।

ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল কোথায় চাষ হয়?

ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল মূলত হুয়া-নিউ জাতের একটি বিরল প্রজাতি, যা রেড ডেলিশাস আপেলের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এটি চাষ হয় তিব্বতের নিয়িংচি অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,৫০০ মিটার উচ্চতায়। এই অঞ্চলের তীব্র অতিবেগুনি রশ্মি ও দিন-রাতের বড় তাপমাত্রা পার্থক্যের কারণেই আপেলের খোসা গাঢ় বেগুনি-কালো রং ধারণ করে। বাইরে কালো হলেও ভেতরের শাঁস কিন্তু সাদা। অন্যান্য আপেলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি মিষ্টি এটি। বিরলতা ও বিলাসবহুল সৌন্দর্যর কারণে প্রতিটি আপেলের দাম ৫০০–৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল খাওয়ার ৪ উপকারিতা-

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: এই আপেলের গাঢ় রং আসে অ্যান্থোসায়ানিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে। এটি শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

হজমশক্তি উন্নত করে: ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি দেয়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি ও উদ্ভিজ্জ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই আপেল শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। নিয়মিত খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে, ত্বক ভালো থাকে এবং ক্ষত সারতেও সহায়তা করে।

হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে।

কীভাবে খাবেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল?

এই আপেল সবচেয়ে ভালো খাওয়া যায় কাঁচা অবস্থায়, যাতে সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। চাইলে সালাদে কুচি করে, চিজ ও বাদামের সঙ্গে, কিংবা ডেজার্ট—টার্ট ও পাই—তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়। স্মুদি বা সামান্য মধু দিয়ে খেলেও স্বাদ বাড়ে। যেহেতু এটি বিরল ও দামি, তাই প্রতিদিন নয়—বিশেষ উপলক্ষেই উপভোগ করাই ভালো।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/yd5y
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন