কিন্তু এই তেজপাতার গুণ সম্পর্কে জানলে আর একে অবহেলা করতে পারবেন না। কী গুণ রয়েছে এই পাতায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : তেজপাতায় থাকা ফেনোলিক যৌগ ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণ রাখে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকাদের জন্য তেজপাতা বেশ উপকারী।
কাশি : গরম পানিতে দুই থেকে তিনটি তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করতে পারেন তেজপাতার চা।তেজপাতার চায়ে দূর হবে খুসখুসে কাশি। পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত হয়, কমে উদ্বেগ। ভালো ঘুমের জন্যও উপকারী এই চা।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে : বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, তেজপাতা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে।
এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও ক্যাটেচিন নামক উপাদান ক্যান্সার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ব্যথা উপশমে : তেজপাতা শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেকোনো ধরনের মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী এই পাতা।
হজমে সহায়তা : তেজপাতা হজমশক্তি ভালো করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়।
হজম রস তৈরিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এর এনজাইম দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্য : তেজপাতায় রয়েছে রুটিন, ক্যাফেইক এসিড ও শ্যালিসাইটলস। এগুলো হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রেসের ঝুঁকি বাড়ায়।
ছত্রাক প্রতিরোধ : তেজপাতায় বেশি পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল রয়েছে। এটি সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে।
কিডনির রোগ : কিডনিতে ইনফেকশন বা পাথর হলে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তেজপাতা এই ইউরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য : তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর সুগন্ধ আরামদায়ক ও রিলাক্সিং।
চুল ও ত্বকের যত্ন : তেজপাতার পানি চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হ্রাস করতে কার্যকর।
তেজপাতা সাধারণত রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি শুধু স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করে না, এর বিভিন্ন গুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকারে আসে। তবে এটি সরাসরি খাওয়ার পরিবর্তে রান্নায় ব্যবহার বা চা হিসেবে পান করা উচিত।