আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর উপকারিতা
আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর অনেক উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ ও জীবাণুবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুধু গলার সংক্রমণ দূর করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
কাশি ও গলা ব্যথা : যষ্টিমধুর রসে ব্রঙ্কোডাইলেটর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যায় সাহায্য করে। কাঁচা যষ্টিমধু চিবিয়ে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যষ্টিমধুর পানি পান করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : যষ্টিমধুতে কিছু এনজাইম থাকে, যা শরীরে লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ তৈরিতে সাহায্য করে।এই কোষগুলোর কাজ হলো ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি ও দূষণের কারণে শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন যষ্টিমধুর চা তৈরি করে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের জন্য : ত্বকের অ্যালার্জি ও ফোলাভাব কমাতে যষ্টিমধুর রস অনেক সাহায্য করে। যষ্টিমধুর রসের সাহায্যে ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমানো যায়।
এসিডিটি ও বদহজম : যষ্টিমধুর শিকড় চুষলে এসিড রিফ্লাক্স, বুকজ্বালা ও বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন যষ্টিমধুর রস খাওয়া এসিড রিফ্লাক্সের জন্য বেশি কার্যকর।
ক্যান্সারবিরোধী বৈশিষ্ট্য : ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, যষ্টিমধুর মূল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর।
হাঁপানি : ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, যষ্টিমধুর মূলে গ্লাইসাইরিজিন পাওয়া গেছে, যা হাঁপানিতে উপশম দিতে পারে।
দাঁত ক্ষয় : প্রতিদিন যষ্টিমধুর পানি দিয়ে দাঁত ধুয়ে ফেললে অথবা যষ্টিমধুর মূল চুষলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এটি দাঁতের ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধও দূর করে।