শুধু বাড়ির খাবারই নয়, রান্নায় ব্যবহৃত তেল-এর ধরনও এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, হার্টের রোগ প্রতিরোধে এমন তেল বেছে নিতে হবে যা: আনরিফাইন্ড (অপরিশোধিত), স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট আইটেমে খুবই কম, মোনো- ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি।
নিরাপদ তেল— তিনটি প্রস্তাবিত ধরন
অলিভ তেল
এতে মোনো- এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না।
বাদাম তেল
চিনাবাদামের তেল ট্রান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে কম, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে বাদামে অ্যালার্জি আছে এমন মানুষদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সরিষার তেল
অনেকেই মনে করেন সরিষার তেল হার্টের রোগীদের উপযোগী নয়, তবে তাতে এরকম ফ্যাট যেমন বেশি, তেমন রাসায়নিক ইউরিসিক অ্যাসিডের মাত্রাও থাকতে পারে। তাই পর পর মাত্রায় ব্যবহারে সুবিধা, বিশেষ করে যারা গাঁটে ব্যথায় ভোগেন। এই তিন তেলের নিয়মিত ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং তেলেভাজা এড়ালে শরীরে প্রদাহও কম হয়।
পরিমাণ-সতর্কতা
তেল স্বাস্থ্যকর হলেও, অতিরিক্ত হলে ফল বিপরীত—তেলেভাজা কিংবা বেশি পরিমাণ তেলে রান্না করলে হার্ট এর রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
বাহ্যিক তেল, ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে কমানো জরুরি। আনরিফাইন্ড অলিভ, বাদাম ও সরিষার তেল নিরাপদ ও উপকারী। তবে শুধু তেলের নির্বাচনে জোর না দিয়ে, পরিমাণে ও খাদ্যতালিকায় সামগ্রিক পরিবর্তন রাখতে হবে।