শহরের কফি শপ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসচেতনদের কিচেনে দারুণ জনপ্রিয় সবুজ রঙের ফল অ্যাভোকাডো। কেউ আবার এটিকে ‘হার্টের বন্ধু’, আবার কেউ বলেন ‘ওজন কমানোর জাদু ফল’। তবে প্রশ্ন হলো অ্যাভোকাডো কি সবার জন্য সমানভাবে উপকারী? নাকি কারো ক্ষেত্রে এটি বাড়তি ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে? চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক—
অ্যাভোকাডো কাদের জন্য উপকারী
হার্টের রোগী–অ্যাভোকাডোতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পরিমাণমতো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিক রোগী–এতে শর্করা প্রায় নেই বললেই চলে। ফাইবার বেশি থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে ইচ্ছুক–ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পেট ভরা রাখে।
অতিরিক্ত খিদে কমায়, ফলে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
ত্বক ও চুলের যত্নে–ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বককে উজ্জ্বল ও চুলকে মজবুত করে।
কাদের জন্য অ্যাভোকাডো খাওয়া অনুচিত
যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি বা স্থূলতা আছে, তাদের এই ফল থেকে দূরে থাকা উচিত। এর ফ্যাট স্বাস্থ্যকর হলেও ক্যালরি অনেক বেশি।
বেশি খেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিডনির রোগীরা পরিমিত পরিমাণে খাবেন। কারণ এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি। কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অনেক সময় ল্যাটেক্স অ্যালার্জির রোগীদের অ্যাভোকাডোতেও অ্যালার্জি দেখা দেয়। লিভারের সমস্যা থাকলে সাবধান হওয়া দরকার। কারণ অতিরিক্ত অ্যাভোকাডো লিভারে চাপ তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অর্ধেক অ্যাভোকাডো (প্রায় ৫০-৭০ গ্রাম) খাওয়াই যথেষ্ট। হার্ট বা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নিয়মিত ডায়েটে রাখা ভালো। কিডনি বা লিভারের রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। অ্যাভোকাডো নিঃসন্দেহে এক ‘সুপারফুড’, কিন্তু তা সবার জন্য সমান নয়। কারো শরীরের জন্য এটি আশীর্বাদ, আবার কারো ক্ষেত্রে বাড়তি ঝুঁকি। তাই কে কতটা খাবেন, তা নির্ভর করবে শরীরের অবস্থার ওপর।