English

32 C
Dhaka
শুক্রবার, জুন ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

ঈদে অতিরিক্ত গরুর মাংস খেয়ে বদহজম হলে কী করবেন

- Advertisements -

ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই ঈদে কোরবানির গরুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন পদের রেসিপি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঘরের রাঁধুনিরা। এই সময়ে মজাদার খাবারে মুখের রুচি বেড়ে যায়। খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। বেশি গরুর মাংস খাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। ফলে ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।

অতিরিক্ত গুরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে জেনে নিন আপনার কি করতে হবে-

১/ পেট ফাঁপার সঙ্গে পেট ব্যথায় ভুগছেন? তাহলে কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।

২/ বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন। এছাড়া বদহজমের জন্য এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩/ গ্যাসে সমস্যা হলে মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।

৪/ দুই কাপ পানিতে এক টুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

৫/ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

৬/ দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।

৭/ কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।

৮/ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতা-

১/ ঈদে কোরবানির গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশি দিন না খাওয়াই মঙ্গলজনক।

২/ রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থাকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

৩/ ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়া ভালো।

৪/ বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।

৫/ যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। এবং বেশি খেলে তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬/ মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনিত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন