English

25 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫
- Advertisement -

কোন রক্তের গ্রুপে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

- Advertisements -

রক্তের গ্রুপের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই গ্রুপের রক্ত শরীরে বইলে, কম বয়সে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে দেড় কোটির বেশির মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ লাখ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর শরীর পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে যায়। স্ট্রোক আচমকাই আসে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদ ঘটে যায়। স্ট্রোক কী ভাবে প্রতিরোধ করা যাবে, সে নিয়ে গবেষণা চলছেই। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার পরে, সেটিই স্ট্রোক প্রতিরোধের হাতিয়ার হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকেরা খুঁজে বার করেছেন রক্তের গ্রুপ যদি ‘এ’ হয়, তা হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হবে, ‘ও’ গ্রুপ আবার সে দিক থেকে অনেক নিরাপদ। এই গ্রুপের রক্ত হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি তেমন থাকবে না। বাকি দুই রক্তের গ্রুপের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকলেও ‘এ’ গ্রুপের মতো নয়। ‘এবি’ গ্রুপের ক্ষেত্রে আবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়া বা স্মৃতিনাশের মতো রোগ ও টিউবারকিউলোসিসের ঝুঁকি বেশি।

মেরিল্যান্ডের গবেষক স্টিভেন জে কিটনার জানিয়েছেন, ৬ লাখের বেশি মানুষের উপর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাটি করা হয়েছে। ১৭ হাজার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাদের ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ১৬ শতাংশের বেশি এবং যাঁদের ‘ও’ গ্রুপের রক্ত, তাদের ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম।

তবে রক্তের গ্রুপ যা-ই হোক না কেন, স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে অতি অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে না পারে, তা দেখতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া-সহ নানা রিস্ক ফ্যাক্টর মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। তখন রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে এবং ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। ফলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। এই ব্যাপারটাই স্ট্রোক। সাধারণত, দু’ধরনের স্ট্রোক হয়— ইস্কিমিক ও হেমারেজিক। ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধা পেয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আর হেমারেজিকে রক্তজালিকা গুলি স্ফীত হয়ে ছিঁড়ে যেতে থাকে। ফলে মস্তিষ্কের ভিতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

ওজন স্বাভাবিক রাখা আবশ্যক, রোজ নিয়ম করে অন্তত আঁধ ঘণ্টা হাঁটা বা শরীরচর্চা করতেই হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/efo9
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন