রক্ত পরীক্ষার পর কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকলে অনেকেই দুশ্চিন্তা মুক্ত হন। কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকলেই কি হৃদরোগের ঝুঁকি কম বলা যায়?
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাদ্যও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক স্তর থেকে অস্বাস্থ্যকর স্তরে চলে যেতে পারে।
রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল জমলে সেটি ধমনীতে জমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এলডিএল কোষে চর্বি বহন করে। কিন্তু এর অতিরিক্ত উপস্থিতি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক তাই এলডিএলকে ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’ বলে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, এইচডিএল কোলেস্টেরলকে ‘গুড কোলেস্টেরল’ হিসেবে ধরা হয়। এর একটি স্বাস্থ্যকর স্তর হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এইচডিএল ধমনী থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সংগ্রহ করে এবং অপসারণের জন্য লিভারে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, ফলে প্লাক তৈরি রোধ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
আমাদের দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে। এই জাতীয় ফ্যাট বা চর্বির উপস্থিতি মানবদেহে অতি সাধারণ বিষয়। এটি খাদ্য থেকে পাওয়া অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় করে।
কিন্তু ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চমাত্রার পাশাপাশি বেশি পরিমাণে এলডিএল কোলেস্টেরল বা কম পরিমাণে এইচডিএল কোলেস্টেরল থাকলে তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কারণ এর সঙ্গে ধমনীর দেয়ালের চর্বি জমা হওয়ার যোগ রয়েছে, যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
যে বিষয়গুলোয় নজরে রাখতে হবে
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণ কুমার জানিয়েছেন মতে হার্টের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি বিষয়ে নজরে রাখা দরকার- যেমন ওজন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম করা, পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন।