চুল ধোয়ার নিয়ম ঠিক করুন
কাজের চাপের কারণে অনেকেই চুল কয়েক দিন পর পর ধোয়া বাদ দেন। এতে মাথায় তেল, ঘাম ও মৃত কোষ জমে এবং ছত্রাক জন্মায়, যা খুশকির কারণ। স্টাইলিং প্রডাক্টের জমাটও রন্ধ্র বন্ধ করে ত্বকে জ্বালা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ধোয়ার রুটিন ঠিক করুন। তেলতেলে স্ক্যাল্পে একদিন পরপর শ্যাম্পু, শুষ্ক স্ক্যাল্পে কিছুটা বিরতি রাখা ভালো।
ড্রাই শ্যাম্পু অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না
ড্রাই শ্যাম্পু সময় বাঁচায়, কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে চুলকানি ও খুশকি বাড়ে।
নিয়মিত চুল ধোয়ার অভ্যাস করুন।
টাইট হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলুন
চুল শক্ত করে বাঁধলে ত্বকে টান পড়ে এবং রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে ফোলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ত্বক শুষ্ক হয়। তাই চুল নিয়মিত খোলা রাখুন, রাবার ব্যান্ডের বদলে নরম স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করুন।
হিট দিয়ে স্টাইল করা কমান
হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রনের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে।
চুল শক্ত ও শুষ্ক হয়, খুশকি বাড়ে। হিট টুল ব্যবহার করলে হিট প্রোটেকশন অয়েল লাগান এবং সম্ভব হলে চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন।
সুগন্ধযুক্ত প্রডাক্ট এড়িয়ে চলুন
সিনথেটিক ফ্র্যাগরেন্স ও অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য ত্বকে অ্যালার্জি ও সংবেদনশীলতা তৈরি করে। তাই অ্যালকোহল, এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া পণ্য ব্যবহার করুন।
জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন
অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব ত্বকের তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, পুষ্টিকর খাবার খান এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন। এটাই সুস্থ স্ক্যাল্পের মূল চাবিকাঠি।
